সংবাদদাতা:
উখিয়া জালিয়াপালং ইউনিয়নের মাদারবনিয়াতে এক ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। উক্ত ছাত্রী স্থানীয়  স্থানীয় মাদারবনিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্রী।
ধর্ষিতা ছাত্রী জানান, গত কয়েক মাস যাবত আমার বাবা একটি মামলায় কারাগারে আছে। বাবা বাড়িতে না থাকায় ২৫ জুন সোমবার রাতে বাড়ির সবাই  ঘুমিয়ে পড়ে। গভীরে রাতে ঘরের দরজার শিকল খুলে স্থানীয় চাকমা পাড়ার চোয়াইনসুর পূত্র লাতু চাকমা, কেজাইয়ংনের পূত্র মঙ্গলা চাকমা, আর রবিন চাকমার পূত্র তাইমং চাকমা তাদের ঘরে প্রবেশ করে। আর তাদের দেখে ধর্ষিতা চিৎকার করলে মঙ্গলা ও তাইমং মিলে তার মাকে বেধেঁ রাখে। তারপর লাতু চাকমা প্রথমে ধর্ষণ করে। তখন রাতে অনেক বৃষ্ট্রি হচ্ছিল। তােই পাশের কেউ তাদের চিৎকার শুনেনি।  বৃষ্টি কলে ধর্ষিতা সহ তার তার মায়ের চিৎকার শুনে পাশের বাড়ির লোকজন এগিয়ে আসলে ধর্ষকরা পালিয়ে যায় বলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে ধর্ষিতা ।
এদিকে ঘটনার কয়েক দিন পার হলেও কেন তারা থানায় কোনো মামলা করেনি এমন প্রশ্নের জবাবে ধর্ষিতার মা বলেন , আমরা প্রথমে ঘটনার ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোজাম্মেল হক কে জানাই। তার কাছে আমরা গরীব বলে কোনো সুবিচার না পেয়ে তার পরের দিন আমরা উখিয়া থানাতে গেলে একজন অফিসার আমাদেরকে  একটি মামলা করতে বলে। কিন্তু আমাদের কাছে টাকা না থাকায় কোনো মামলা না নিয়ে তিনি আমাদের অভিযোগটি ইনানী পুলিশ ফাঁড়িতে শালিশের জন্য পাঠিয়ে দেয়। এতে আমরা ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়ে বিষয়টি দুইদিন পর হলেও সাংবাদিকদের জানাই।
এব্যাপারে উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল খায়ের বলেন, ‘আমি ঢাকা থেকে থানায় এসেছি  ২৬ জুন সন্ধ্যায়। এই রকম কোনো মামলার বিষয়ে আমার কাছে কেউ আসেনি। তবে আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি ভিকটিম পরিবারটি থানায় কার কাছে এসেছিল। আর উক্ত ঘটনার ব্যাপারে মামলা করলে ভিকটিম পরিবারকে যথাযত আইনি সহায়তা দেওয়া হবে।’
আর ধর্ষিতা ছাত্রীর বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পাখি আক্তার বলেন, আমার বিদ্যালয়ের ছাত্রীটি ন্যায় বিচার পেতে যথাযত আইনি সহায়তা করব।
 ব্যাপারে উখিয়া থানা নির্বাহী কর্মকর্তা নিকারুজ্জামানের কাছে জানতে চাইলে তিনি এই রকম কোনো অভিযোগ এখনো পাইনি বলে জানান।  তবে এই ঘটনার ব্যাপারে কেউ অভিযোগ করলে দোষীদের বিরুদ্ধে যতাযত আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান।